শালা জীবনটা চার পেগ ঢপের বাংলু দিয়ে বানানো। আমার সুন্দরী মা, যখন প্রথম সন্তান জন্মদিয়েছিলেন হেভি চমকেছিলেন, ‘এই ট্যাঁ আমার পেট থেকে বাড়িয়েছে? কালো, শুটকো, লোমশ এক মেয়ে!’ না, মুখে বলেন নী তবে ওনার পরের কাজ গুলো দেখলে গাধাও বুঝবে ব্যাপারটা। সাইকোলজি না জানলেও দিব্যি বোঝা যায়, উনি ওনার এই প্রথম সন্তানটিকে হজম করতে পারেন নি।তো সেকেন্ড বার কোন রিস্ক না নিয়ে সোজা প্রথমে জগন্নাথের পুজো দিয়ে, মানত করে বাকি কাজ বা অকাজ করলেন। ভগবান ওনার পুজয় খুশি হয়ে হৃষ্টপুষ্ট ছেলে দিলেন এবং ওনায় লজ্জার হাত থেকে বাচালেন।ওনার পুত্র হাতে অদৃশ্য কাঠি নিয়ে জন্মালো যা পরবর্তীতে আমরা দেখবো মেয়েটির জীবন অতিষ্ঠ করার কাজে কোথায়, কখন লাগানো হল।

বিধাতা পুরুষ যখন ছ’দিনের দিন মেয়েটির ভাগ্য লিখতে এলেন, তখন ওনার কলমের কালি শেষ। বোঝো। উনি কিছু না লিখে ফিরতে পারবেন না জেনে ইতি উতি তাকিয়ে দেখলেন মেয়েটির মাথার কাছে রাখা প্রদীপ নিভে গেছে, টা ওই সলতে পোড়া ছাই দিয়েই যা লেখার লিখে দিলেন।

লাও ঠ্যালা। বছর যায়, দিন যায় মেয়েটি রূপ বাদে সব গুনে বড় হতে লাগলো। বিধাতা হিমগ্লোবিন সার পার্সেন্ট দিয়ে একশো পার্সেন্ট মেধা, সুর, সব উপুর হস্তে দিয়েছিলেন। এই নিয়ে এখনো কোন কথা হবেনা।মা, বাপ ওই দিয়ে বিরাল পার করতে চাইলো আর বললে বিশ্বাস করবে না ঐ ঝিক্কুটে কালো, শুঁটকি এক হ্যান্ডু ছেলের সাথে বিনা পনে, শুধু পন কেন কিছুই না নিয়ে বিয়ে হয়ে গেলো। মা হাঁফ ছারলেন, ‘আপদ গেলো।’ছেলের জন্য ওনারা দরাজ। ছেলের চাকরীতে উন্নতি বা ট্রান্সফার সব কিছুতেই বাপ টাকা দিলেন। মেয়ে সামান্য চাকুরে ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে অন্য রাজ্যে কী খাচ্ছে, আদৌ কিছু খাচ্ছে কি না জানতে চাইলেন না।

Arranged marriageহলে, পন না নিক মা- বাপ মেয়েকে এমন নেংটা বিয়ে দেবে মেয়েরশ্বশুর বাড়িতে আশা করেনি। তাই জুটলো, অকথ্য ভাষায় গালি, ঘর থেকে বেড়িয়ে জেতে বলা, সবার সামনে অপমান কিছুই কেউ বাদ রাখলো না। মেয়ে বাবা, মা কে তখনো চেনেনি, আবাল টাইপ কি না! সে তাদের বললো কিছু করো। ওনারা বললেন, মানিয়ে নাও। ততদিনে ছেলের জন্য সুন্দরী মেয়ে দেখে বৌ আনা হয়ে গেছে। সেই বৌ দেখে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির রাগ আর বাগ মানে না। প্রথমে ভাগ্য কে গালি তারপরে হাতের সামনে বৌ কে গালি।

এখন মেয়েটি বর, ছেলে নিয়ে একা থাকে। বাপের বাড়ি বা শ্বশুর বাড়ি কোথাও জায়না।ঝগড়া করতে তো শেখেনি। কিন্তু চুপ হয়ে মুখ ঘড়িয়ে নিয়ে প্রমান করে দিয়েছে সম্পর্ক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।